Last Post

4/টেক এক্সপ্লেন/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ল্যাপটপ দীর্ঘদিন (কমপক্ষে ৬ মাসের বেশি) না চালিয়ে বন্ধ করে রাখলে কি সমস্যা হতে পারে ?? || What could be the problem if the laptop is not turned off for a long time (at least 6 months) ??

 

যেকোনো বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ বহুদিন ফেলে রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে সেটা রাখা উচিত। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন যাতে সেটা কোনও আর্দ্র আবহাওয়ায় বা সরাসরি সূর্যালোকে না পড়ে। আর খুব উষ্ণ জায়গাতেও না রাখাই ভাল। আর্দ্র আবহাওয়া যদি অপরিহারযোগ্য হয় |

What could be the problem if the laptop is not turned off for a long time (at least 6 months) ??

সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে যদি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত রাখা হয়, তাহলে সমস্যা হলেও ব্যাটারিটা প্রাণে বেঁচে যাবে। কিন্তু কম চার্জ অবস্থায় যদি এতদিন অব্যবহৃত থাকে তাহলে ব্যাটারি নষ্ট হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

যদি সুন্দর ভাবে ঢেকে/প্যাক করে রাখা হয় তাহলে ভেতরের যন্ত্রাংশ ঠিকই থাকবে, এর ব্যাতিক্রম হলে ময়লা জমে প্রসেসর এবং সার্কিটে সমস্যা হতে পারে, ভেতরে পিঁপড়া কিংবা তেলাপোকাও বাসা বাঁধতে পারে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে ক্যাপাসিটরে কিছু সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

Laptop Problem | Right Click



What could be the problem if the laptop is not turned off for a long time (at least 6 months) ??

দীর্ঘদিন পর চালু করার পূর্বে ডেক্সটপের ক্ষেত্রে ভেতরটা ভাল ভাবে দেখে নিতে হবে, আর ভালভাবে পরিষ্কার করে তারপর চালু করলে ভাল। ল্যাপটপ হলে ভালভাবে দেখে নিন কোথাও কোন সংযোগ ছেঁড়া অবস্থায় আছে কিনা।


অনেকদিন যাবৎ ল্যাপটপ অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে সবার আগে ল্যাপটপের ব্যাটারি খারাপ হতে শুরু করবে। আপনি ভালো করেই জানেন ল্যাপটপের ব্যাটারির মধ্যে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল থাকে, আর এই কেমিক্যাল গুলো তখনই ঠিকঠাক থাকে যখন কাজ করতে থাকে, এদের মধ্যে ক্রিয়া বিক্রিয়া গুলো চলতে থাকে।

ব্যাটারি ড্যামেজ (Battery Damage)

আপনি যদি অনেক দিন ধরে ব্যাটারি সেল ফেলে রাখেন সেক্ষেত্রে ব্যাটারি এমনিতেই ডেড হয়ে যাবে। আপনি ব্যাবহার না করলেও ব্যাটারি নিজের ক্রিয়া বিক্রিয়া গুনে ডিসচার্জ হতে থাকে। আর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ০% ডিসচার্জ করে ফেলা মোটেও সুবিধার কথা নয়।

Laptop Battery | Right Click


তো বেস্ট প্র্যাকটিস হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে ব্যাটারিটি খুলে রেখে ল্যাপটপটি সংরক্ষণ করা। তারপরে সপ্তাহ অন্তর অন্তর ল্যাপটপ ব্যাটারি ইন্সটল করে নেওয়া এবং কয়েক মিনিটের জন্য বা অর্ধঘণ্টার জন্য ব্যাটারি রিচার্জ করে নেওয়া। এতে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা অক্ষত থাকতে পারবে।

ডাটা লস (Data Loss)

প্রথম যে সমস্যাটি হতে পারে তা হলো “ডাটা লস”, মানে আপনার ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভ ফেইল করতে পারে। দেখুন, ল্যাপটপ এক পোর্টেবল কম্পিউটিং মেশিন। এতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ একে অপরের সাথে ফিট করানো থাকে ঠিক পাজলের মতো। ল্যাপটপে থাকা হার্ড ড্রাইভ গুলো ডেস্কটপ ড্রাইভের থেকে ছোট সাইজের হয়ে থাকে, আর অনেক দিন যাবৎ ল্যাপটপ অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে সহজেই এতে ত্রুটি চলে আসতে পারে। তবে ঠিক কি ত্রুটি আসবে সেটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কি পরিবেশে ল্যাপটপটি সংরক্ষণ করছেন তার উপরে।


পরিবেশের আর্দ্রতা আর তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভ ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ করে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটলে সময়ের সাথে হার্ড ড্রাইভের ভেতরের যন্ত্রাংশের আয়োতন বেড়ে বা সঙ্কুচনের সৃষ্টি ঘটতে পারে। এতে হার্ড ড্রাইভের বাহুর সমস্যা তৈরি করতে পারে যেখানে হার্ড ড্রাইভের হেড থাকে আর এটা ডাটা রিড/রাইট করার জন্য দায়ী।

Laptop Hard Disk | Right Click




যাইহোক, আর্দ্রতা আরো বেশি মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। পানি সহজেই বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে, হার্ড ড্রাইভের ভেতরে সামান্য পরিমাণে আর্দ্রতা ড্রাইভের বড় ড্যামেজ এবং ডাটা লস ঘটাতে সক্ষম।


আপনি আমার কম্পিউটার মেমোরি নিয়ে লেখা আর্টিকেল এবং হার্ড ড্রাইভ কিভাবে কাজ করে এই দুটি আর্টিকেল পড়ে থাকলে জানাবেন যে, কম্পিউটার আসলে মনে রাখার জন্য নয় বরং ভুলে যাওয়ার জন্য ওস্তাদ! হার্ড ড্রাইভের মধ্যে বিশেষ এক কায়দা করে ইলেক্ট্রিসিটির সাহায্যে চুম্বকত্ব তৈরি করা হয়, আর এভাবে ডাটা স্টোর রাখা হয়। আর আপনি যদি দীর্ঘদিন ল্যাপটপ না ব্যাবহার করে ফেলে রাখেন সেক্ষেত্রে হার্ড ড্রাইভের চুম্বকত্ব ক্ষমতা দিনের পর দিন লোপ পেতে থাকে। এতে ডাটা লসের সম্মুখীন হতে হতে পারে।


তাছাড়া হার্ড ড্রাইভ যেহেতু মেকানিক্যাল ডিভাইস, তাই এতে মেকানিক্যাল ত্রুটিও চলে আসতে পারে। সলিড স্টেট ড্রাইভ বা সংক্ষেপে যেটাকে এসএসডি বলে — দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে এর সেলের মধ্যেও ত্রুটি চলে আসতে পারে, ফলে ডাটা লস ঘটতে পারে।


অন্যান্য যন্ত্রের সমস্যা (Other Accesories Fault)

শুধু হার্ড ডিস্ক বা ব্যাটারির ই ত্রুটি নয়, আপনি কতদিনের জন্য বা কিভাবে ল্যাপটপ অব্যবহৃত রাখবেন সে অনুসারে আলাদা যন্ত্রাংশ গুলোতেও ত্রূটি দেখা দিতে পারে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে ফেলে রাখার জন্য আর্দ্রতার কারণে আপনার ল্যাপটপ স্ক্রীন ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। বায়োস ব্যাটারি ডেড হয়ে যেতে পারে। ল্যাপটপের এয়ার কুলিং সিস্টেমে অত্যধিক ময়লা জমে যেতে পারে, ফ্যান সম্পূর্ণ রূপে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।

আবার শুধু হার্ডওয়্যার নয়, ল্যাপটপ অনেক দিন ফেলে রাখলে আপনার অপারেটিং সিস্টেমের ক্রিটিক্যাল সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট গুলো মিস করবেন, অ্যান্টিভাইরাস ডাটাবেজ আপডেট মিস করবেন, সকল সফটওয়্যার গুলো ততোদিনে ব্যাকডেটেড হ যাবে। হ্যাঁ, আপনি যেহেতু ল্যাপটপ ব্যাবহার ই করছেন না সেক্ষেত্রে সফটওয়্যার ব্যাকডেটেড হলেও কিছু যায় আসে না, কিন্তু ব্যাবহার করার সময় ব্যাপারটি ভুলে গেলে ভেজাল বাঁধতে পারে।

তাহলে নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারছেন যে ল্যাপটপ লম্বা সময়ের জন্য অব্যবহৃত না রাখাটাই ভালো | যতটা সম্ভব ব্যবহারের মধ্যে একে রাখা উচিত |

Post a Comment

2 Comments

Please do not enter any spam link in comment.